নিজস্ব প্রতিবেদক : হজের ফ্লাইট জটিলতায় দায়ী হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, ‘হজযাত্রীদের নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য হজ এজেন্সিগুলোই দায়ী। হজের ফ্লাইট জটিলতায় দায়ী হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও হজ এজেন্সিগুলো সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি। হজযাত্রীদের নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা আমরা উদঘাটন করতে পেরেছি। দ্রুত এ সংকটের সমাধান হবে। সৌদি দূতাবাসের সাথে কথা হয়েছে।’
মতিউর রহমান বলেন, ‘যে হজযাত্রীরা ভিসা পাননি, তারা এখন ভিসা পাচ্ছেন। হজ অফিস জানিয়েছেন, হাজীদের মেয়াল্লেম ফি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ২০১৫ সালে যারা হজ করেছেন এবার তাদের হজে যেতে সৌদি কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত দুই হাজার সৌদি রিয়াল ফি ধার্য করেছে। সেটি মওকুফের জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং আবেদনও করেছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং তাকে বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ করেছি। এবার ১২টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তাই আমরা বিমানমন্ত্রীকে আরও ২০টি ফ্লাইট বাড়ানোর অনুরোধ করেছি।’
লিখিত বক্তব্যে মতিউর রহমান বলেন, ‘এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৪২ হাজার ২শ’ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং এক লাখ ২২ হাজার ৯৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত মোট ৯৭ হাজার ১৪০ জনের ই-হজ সিস্টেমে ভিসা লজমেন্ট করা হয়েছে। ৫২ হাজার ৬শ’ জন ভিসা হাতে পেয়েছেন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৫০৪ জন সৌদি পৌঁছেছে।’
এদিকে, গতকাল বুধবার ভিসা জটিলতায় যাত্রী সংকটে একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হজ ফ্লাইট নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তা দু’একদিনের মধ্যে সমাধান করা হবে। যদি খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধার করা না যায় তাহলে এ সমস্যা আরো বাড়বে। তখন এ সমস্যা আর সমাধান করা সম্ভব হবে না।’
প্রসঙ্গত, ভিসা জটিলতায় যাত্রী সংকটের কারণে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স মোট ১৫টি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আর বাকি ৩টি সৌদি এয়ারলাইন্সের। যার ফলে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রীর হজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।